জুমার দিন বেশ কিছু আমল আছে। দিনভর এসব আমলে দিনটি অতিবাহিত করে মুমিন মুসলমান। ধারাবাহিক এ আমলগুলো পালনে রয়েছে গুরুত্ব ফজিলত ও প্রতিদান। আমলগুলো কী?
১. জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা আলিফ-লাম-মিম তানযিল এবং সুরা দাহর তেলাওয়াত করা।
২. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
৩. গোসল করা।
(ads2)
৪. মিসওয়াক করা।
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৬. আগেভাগে মসজিদে গমন করা।
৭. মসজিদে বসে ইমাম সাহেব খুতবা শোনার জন্য অপেক্ষা করা, এ সময়ে নামাজ, জিকির, তেলাওয়াতে মগ্ন থাকা।
৮. খুতবার সময় চুপ করে থাকা।
৯. জুমার নামাজ পড়া। (জোহর নয়)
১০. জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে, সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ তেলাওয়াত করবে, তেলাওয়াতকারীর পা থেকে আকাশ পর্যন্ত একটি ‘নূর’ জ্বলজ্বল করবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দেবে। এবং তার দুই জুমার মধ্যবর্তী গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বায়হাকি : ৫৯৯৬)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন এ আমলে নিজেদের সময় অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের ফজিলত বেশি। এই দিনের মধ্যে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বিশেষ কিছু সওয়াব নিহিত রেখেছেন। তাই এই দিনে রয়েছে বিশেষ কিছু আমল। যাতে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে গুনাহ মাফের সুযোগ।
তবে সর্বপরি গুনাহ মাফসহ সব ইবাদত কবুল করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ইচ্ছা করলে কবুল করবেন আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না। তবে আমাদেরকে তার সৃষ্ট বান্দা হিসেবে একচিত্তে আল্লাহরই ইবাদতে মশগুল থাকা জরুরি।
(ads2)
জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ঐ স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। দোয়াটি হলো-
আরবি উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।
জুমার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। জুমার দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব।
(ads1)
জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।
জুমার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা। সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।